পটুয়াখালীতে ১৬ বছরের কিশোরী ধর্ষন কন্যা সন্তান প্রসব

পটুয়াখালীতে ১৬ বছরের কিশোরী ধর্ষন কন্যা সন্তান প্রসব
আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধি ঃপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নিজ বটকাজল এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়ে কন্যা সন্তানের মা হয়েছে এক কিশোরী।
 
সংবাদ সুত্রে জানাগেছে মেয়েটি প্রসব ব্যথা উঠলে এলাকাবাসী বাউফল থানায় খবর দেয় খবর পেয়ে বাউফল উপজেলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান নিজ দায়িত্বে একজন অফিসারসহ বাউফল উপজেলা থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতাল প্রেরণ করে। এখন গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি আছে বলে জানাযায়।
 
মেডিকেল সুত্রে জানাগেছে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুর আড়াইটার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসব করে বল জানিয়েছে হাসপাতালের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জাকিয়া সুলতানা ও ডাঃ ফেরদৌসী বেগম তাদের উপস্থিতিতে ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়েছে।
 
চিকিৎসকরা জানায় বর্তমানে মা সুস্থ্য আছেন ও মেয়ে একটু অক্সিজেন জনিত সমস্যা আছে, তাকে শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলাম কবির জানান, এই ঘটনা দৃশ্যমান হলে গত ২০১৮ সালের দশ আগস্ট ভিকটিম বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাউফল উপজেলার নিজ বটকাজল এলাকার মতলেব হাওলাদারের ছেলে সালাম হাওলাদারকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলা দায়ের সময় ভিকটিম ৩/৪ মাসের অন্তসত্বা ছিলো, তাই তার প্রসবের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিলো। অভিযুক্ত সালাম এলাকায় প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভিকটিমের পরিবার ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছিল। পরে পুলিশের আশ্বাস ও সহযোগিতায় তারা মামলা দায়ের করেন।
 
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ভিকটিমের পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার পরিচালনা করে। অভিযুক্ত সালাম মাঝে মধ্যে টাকা দেয়া ও বিবাহ করিবে বলে আশ্বাস দিয়ে গত এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। তার কিছুদিন পরেই ভিকটিম অন্তসত্বা হয়ে পরলে থানায় মামলা করেন।
 
সাংবাদিকদের  বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর জানায়, ভিকটিমের প্রসব ব্যাথা উঠলে আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যেম হাসপাতালে পাঠাব অভিযুক্তকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত।